নিম্নচাপের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়া ও সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চারটি নৌযান তীরে উঠে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপকূলে এসব নৌযান আটকে যায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমার আওতাধীন আনোয়ারা উপকূলে দুটি নৌযান আটকা পড়েছে: মারমেইড-৩ ও নাভিমার-৩। মারমেইড-৩ হলো বার্জ, যা নাভিমার-৩ টাগবোটের সাহায্যে আনা-নেওয়া করা হয়।
প্রায় দুই বছর আগে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণকাজের জন্য এই বার্জে করে ভারত থেকে বড় পাথর নিয়ে আসা হয়েছিল। এ সময় নাভিমার-৩ টাগবোটে জ্বালানি সরবরাহ হলেও মালিকপক্ষ কোনো বিল দেয়নি। স্থানীয় প্রতিনিধি ভিশন শিপিং কোম্পানিও বিল পায়নি, ফলে অন্তত পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় নৌযান দুটি চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় নোঙর করা অবস্থায় পড়ে ছিল।
ভিশন শিপিং কোম্পানির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘জাহাজটির মালিকপক্ষ কোনো সাড়া দিচ্ছে না। বিল না পেলেও প্রতিনিয়ত নৌযান দুটিতে চারজন ওয়াচম্যান সরবরাহ করছি।’ জাহাজের এক পাহারাদার মিসকাতুর রহমান জানান, ‘সাগরে প্রচণ্ড ঢেউয়ের মুখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নৌযান দুটি উপকূলে আটকা পড়েছে।’
এদিকে, একই রাতে ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা উপকূলে আরো দুটি জাহাজ আটকা পড়েছে: এমভি আল-হেরেম ও বিএলপিজি সুফিয়া।



