আমাদের দেশের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ট্রেন চালাচ্ছে। আজ, ১ জুন, এই বিশেষ ট্রেন চলাচলের দ্বিতীয় দিন। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে সকাল থেকে যাত্রীদের সুশৃঙ্খলভাবে ট্রেনে ওঠার দৃশ্য দেখা গেছে। রেলওয়ে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ট্রেনগুলো প্ল্যাটফর্মে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ১২টি আন্তঃনগর ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ঢাকা ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে রংপুর এক্সপ্রেস ২০ মিনিট দেরিতে ছাড়লেও অন্যান্য ট্রেন সময়মতো যাত্রা শুরু করেছে।
স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ের আগেই এসে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট যাচাইয়ের তিন স্তরের চেকপোস্ট অতিক্রম করে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করছেন। বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠা ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত তৎপর রয়েছে, ফলে টিকিটবিহীন যাত্রীদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) ও রেল নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সক্রিয় রয়েছে।
রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী ফারদিন আল মাহমুদ জানান, অনলাইনে অনেক কষ্ট করে টিকেট পেয়েছেন, কিন্তু স্টেশনে এসে অভিজ্ঞতা খুব ভালো হয়েছে। নির্ধারিত প্ল্যাটফর্মে ট্রেন প্রস্তুত ছিল, এবং তিনি হুড়োহুড়ি ছাড়া নিজের সিটে বসতে পেরেছেন। তবে ট্রেনের দেরিতে ছাড়ার বিষয়টি তাঁর জন্য দুঃখের।
জামালপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মাসুদুর রহমান জানান, স্টেশনে এসে ভালো লাগছে। আগে যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হতো, এখন সেখানে নির্ধারিত সময়েই ট্রেন পাচ্ছেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা প্রশংসনীয়।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদযাত্রায় যাত্রীদের নিরাপদ ও সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছেন। যাত্রীদের চাপের কারণে বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, সেই জন্য ট্রেন ছাড়ার আগেই পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে স্টেশনে ট্রেনগুলো রাখা হচ্ছে।
যাত্রীরা রেলওয়ের এই উন্নত ও সময়নিষ্ঠ ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, শুধু স্টেশন ব্যবস্থাপনা নয়, ট্রেনগুলো যেন নির্ধারিত সময়েই গন্তব্যে পৌঁছায়, তাহলেই ঈদের যাত্রা হবে আরও সুখকর।



