প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গুম সংক্রান্ত কমিশনের সভাপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী দ্বিতীয় ইন্টারিম রিপোর্ট তুলে দিয়েছেন। বুধবার (০৪ জুন) বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশন প্রধান বিচারপতি (সাবেক) মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা এই প্রতিবেদন জমা দেন।
কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত ১,৮৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্যে ১৩৫০টি যাচাই শেষ হয়েছে। গুম হওয়া তিন শতাধিক ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। কমিশন সভাপতি জানান, ৭ বছর নিখোঁজ থাকলে মৃত বলে ধরে নেয়ার বিধান পরিবর্তন করে ৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান, নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার যাতে অন্তত ব্যাংক হিসেবে লেনদেন করতে পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে।
প্রতিবেদন পেয়ে ড. ইউনূস বলেন, “এ ধরনের ঘটনা ভয়াবহ। আমাদের সমাজের ‘ভদ্রলোকেরা’ এই গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে, যা গা শিউরে ওঠার মতো।” তিনি বলেন, “গুমের ঘটনার চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত।” প্রধান উপদেষ্টা প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইট ও বই আকারে প্রকাশেরও নির্দেশনা দেন এবং কমিশন সদস্যদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
কমিশন সদস্যরা জানান, অভিযোগের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং গুম শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে এখনও তিন শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। কমিশনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন এবং নাবিলা ইদ্রিস। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া।



