ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চলছে পশু কোরবানি। গতকাল শনিবার, ঈদের প্রথম দিন যারা নানা কারণে কোরবানি করতে পারেননি, তারা আজ কোরবানি দিচ্ছেন।
রবিবার সকাল থেকে পুরান ঢাকা, লালবাগ, টিকাটুলী, মুগদা এবং বাসাবোসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পশু কোরবানি করা হচ্ছে। জানা গেছে, কসাইয়ের সংকট ও হাট থেকে গরু বাড়িতে পৌঁছাতে দেরি হওয়াসহ নানা ব্যস্ততার কারণে অনেকেই গতকাল কোরবানি করতে পারেননি।
এদিকে, শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮৫ শতাংশ কোরবানির বর্জ্য অপসারণের দাবি করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি জানান, ইতোমধ্যে সাত হাজার ৮০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ডাম্পিং করা হয়েছে, যা কোরবানি উপলক্ষে উৎপন্ন বর্জ্যের ৮৫ শতাংশ। আগামী তিন দিন তাদের বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম চলবে।
আজও ঈদের দ্বিতীয় দিন, সিটি করপোরেশনগুলো পরিচ্ছন্নতা রক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ধর্মীয় দৃষ্টিতে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ ১১ জিলহজও কোরবানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের বর্ণনায় এই দিনটি মর্যাদাপূর্ণ। নবী করিম (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হলো কোরবানির দিন এবং তার পরবর্তী দিন। তাই অনেকেই আজও কোরবানি করছেন।
শরিয়ত অনুযায়ী, ১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মোট তিন দিন কোরবানি দেওয়ার বিধান রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যে কোনো দিন কোরবানি দেওয়া বৈধ, তবে প্রথম দিন কোরবানি করা সবচেয়ে উত্তম। সময়মতো কোরবানি না হলে সদকা দেওয়ারও নির্দেশ রয়েছে।



