অভিবাসনবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে লস অ্যাঞ্জেলেসে তীব্র বিক্ষোভ চলছে। রোববার, তৃতীয় দিনের মতো হাজারো বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে এসেছে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মোতায়েন করা ন্যাশনাল গার্ডের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও ফ্ল্যাশ গ্রেনেড ব্যবহার করে। বিক্ষোভকারীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১০১ ফ্রি ওয়ে অবরোধ করে রাখে, আর লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ জানিয়েছে, ডাউনটাউন এলাকায় একটি সেলফ-ড্রাইভিং গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের হাতে মেক্সিকান পতাকা দেখা গেছে, যা মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। গভর্নর গ্যাভিন নিউসম ন্যাশনাল গার্ডের মোতায়েনকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে তাদের প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি হোয়াইট হাউজকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ফিরে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রায় ৩০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন রয়েছে এবং ইউএস নর্দার্ন কমান্ড জানিয়েছে, ৫০০ মেরিন প্রস্তুত রয়েছেন। পুলিশের দমননীতির কারণে বহু বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বিকালে, বিক্ষোভকারীরা মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারের বাইরে জড়ো হন, যেখানে অভিবাসন অভিযানে ধৃতদের রাখা হয়। কিছু বিক্ষোভকারী গার্ড সদস্যদের কাছে গিয়ে ধোঁয়াভর্তি ক্যানিস্টার ছুড়ে দিলে পুলিশ দাঙ্গা দমনকারী অস্ত্র ব্যবহার করে।
গভর্নর নিউসম বলছেন, ন্যাশনাল গার্ডের উপস্থিতি শহরের উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন জরুরি ছিল, কারণ নিউসম এবং অন্যান্য ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসন এজেন্টদের লক্ষ্য করে হওয়া বিক্ষোভ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
গত কয়েক দশকে গভর্নরের অনুমতি ছাড়াই ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের ঘটনা এটি প্রথম। ১৯৬৫ সালে আলাবামায় একটি নাগরিক অধিকার মিছিল রক্ষা করতে সেনা পাঠানো হয়েছিল।
বিক্ষোভের সূচনা হয় বৃহস্পতিবার, যখন অভিবাসন দপ্তরের অভিযান চলাকালে ১০০-র বেশি অভিবাসী গ্রেপ্তার হন।



