বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে, এবং নতুন নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হওয়ায় সে বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বন্দরে নজরদারি বৃদ্ধি এবং জনসাধারণের জন্য ৭টি পরামর্শ প্রদান করেছে সংস্থাটি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর জানান, করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে দেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য স্থল, নৌ, ও বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কসমূহে স্বাস্থ্যবিধি জোরদারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা শনাক্তের জন্য আরটি-পিসিআর ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। করোনার টিকা, প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন, ভেন্টিলেটরসহ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সরঞ্জামও নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৭টি নির্দেশনা দিয়েছে:
১. জনসমাগম এড়িয়ে চলুন; একান্ত প্রয়োজনে মাস্ক পরুন।
২. শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে বাঁচতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন (কনুই বা টিস্যু ব্যবহার করে)।
৪. ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন।
৫. সাবান ও পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করবেন না।
৭. আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
সংবাদ সম্মেলনে করোনা শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার প্রস্তুতির বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।



