সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কাছারিবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল তীব্র নিন্দা জানান। তিনি এই হামলাকে ‘জঘন্য’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “এটি নোবেলজয়ী কবির স্মৃতি ও দর্শনকে অপমান করার সামিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্তর্ভুক্তিমূলক দর্শন ও শিক্ষার পরিপন্থি এই হামলা।” তিনি ‘উগ্রপন্থিদের’ বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রতীকগুলো ধ্বংসের অংশ হিসেবে এই ঘটনার উল্লেখ করেন।
এ ঘটনায় ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনেও প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র বলেন, “এটি ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপর সরাসরি আঘাত।” তিনি হামলার পেছনে জামায়াতে ইসলামি ও হেফাজতে ইসলামের মতো কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলে দাবি করেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
১০ জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজাদপুরের কাছারিবাড়িতে দর্শনার্থী শাহনেওয়াজ হোসেন ও স্ত্রী সুইটি খাতুন টিকিট ছাড়া প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতে দায়িত্বরত কর্মচারীদের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়, এবং কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে তাঁকে মারধর করা হয়।
শাহনেওয়াজ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সকালে তিনি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এতে বক্তারা রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির কর্মচারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। বিক্ষোভের পরে ৫০-৬০ জন হামলাকারী কাস্টডিয়ানের অফিস ও অডিটরিয়ামের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে চলে যায়।



