ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানায় ইসরায়েলের হামলায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরিসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইএনএন এই তথ্য নিশ্চিত করে। হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল হোসেইন সালামি এবং পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফেরেয়দুন আব্বাসিও মারা যান। সালামি তেহরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সদর দপ্তরে হামলায় নিহত হন, যেখানে তিনি ১৯৮০ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় যোগ দেন।
সালামি গত বছর ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষের সময় নেতৃত্ব দেন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তিনি বলেছিলেন যে, তারা সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।
ইসরায়েল এই হামলাকে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে, যার উদ্দেশ্য ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা প্রতিহত করা। হামলার ফলে খাতাম আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টার্সের কমান্ডার গোলামালি রাশিদ এবং বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচিও নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামলার লক্ষ্য সম্পর্কে বলেন, এটি ইরানি বিজ্ঞানীদের ও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাকে লক্ষ্য করে এবং অভিযানটি অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না ইরানি হুমকি বন্ধ হচ্ছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এই হামলাকে ‘বর্বর স্বভাবের প্রমাণ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ইসরায়েল নিজেই একটি করুণ পরিণতির দিকে যাচ্ছে।



