ইরানে সরকার বা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চায় না ইসরায়েল। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার এ কথা জানান। তিনি জানান, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করার কোনও সিদ্ধান্ত ইসরায়েল নেয়নি।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি বলেন, বর্তমানে ইরানের নাগরিকরা সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল। জামাল আবিদ মন্তব্য করেন, নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপ একটি ভুল চাল। ২০২২ সালের ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ আন্দোলন ছিল ইরানিদের সরকারের বিরুদ্ধে একটি বড় প্রতিবাদ।
তিনি আরও বলেন, নেতানিয়াহু অনেক বছর ধরে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইরানে সরকার পরিবর্তনে সাহায্য করা। ইসরায়েলও মনস্তাত্ত্বিক প্রচার চালিয়েছে, সরকারকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করতে। দীর্ঘদিন ধরে ইরানি প্রবাসীরা মনে করতেন, ইসরায়েল কেবল ইসলামিক সরকারের স্থাপনাগুলোতে হামলা করবে, সাধারণ ইরানিদের নয়। তবে এখন সেই ধারণা বদলে গেছে।
নেতানিয়াহু বর্তমানে বলছেন, ‘ইরানকে বৈরুত বানিয়ে ফেলা’ অর্থাৎ তেহরানকে ধ্বংসের পরিকল্পনা করছেন। এটি দেখে অনেকেই, বিশেষ করে যারা আগে ভাবতেন ইসরায়েল তাদের বন্ধু, এখন বুঝতে পারছেন যে গাজা, লেবানন ও অন্যান্য অঞ্চলে যা হয়েছে, এবার তা ইরানেও ঘটতে পারে। এটি কোনও মুক্তি নয়, বরং ধ্বংস ও মৃত্যু।



