ইসরাইলের হামলার জবাবে ইরানের পাল্টা আক্রমণের পর মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ইরানের প্রতিক্রিয়ায় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ইসরাইল। এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিফোনে আলোচনা করেছেন।
এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে বলেছেন, “আজ পুরো মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধভাবে আপনার পাশে রয়েছে।”
ইরনা নিউজের বরাতে জানা গেছে, গত শনিবার (১৪ জুন) এমবিএস ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করেছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের উদাহরণ। তিনি আরও বলেন, ইসরাইলি নেতৃত্ব ইচ্ছাকৃতভাবে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে চাইছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রকে এই সংঘাতে জড়িত করতে পারে। এমবিএস ইরানি জনগণ ও নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
পেজেশকিয়ান বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সচেষ্ট রয়েছেন, তবে ইসরাইল তার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, “ইরান ও সৌদি আরব যদি একত্রে কাজ করে, তবে তারা এই অঞ্চলে শান্তি নিশ্চিত করতে পারবে।”
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এমবিএস ইরানে ইসরাইলের হামলার পর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
ইসরাইলের হামলায় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো এবং উচ্চপর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাদের টার্গেট করা হয়। তেহরানের তথ্যমতে, এই ঘটনায় অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন উচ্চপদস্থ সামরিক কমান্ডার ও বিজ্ঞানী। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
ইসরাইলের হামলার পর ইরানও পাল্টা প্রতিশোধমূলক আক্রমণ শুরু করে, তারা তেল আবিব ও জেরুজালেমে হামলা চালায়। ইরানি কর্মকর্তারা জানান, প্রয়োজন হলে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এদিকে, ইসরাইল ইরানের জ্বালানি খাতের অন্তত দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় শক্তিশালী আঘাত হেনেছে, ফলে মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাত আরও জটিল ও বিস্তৃত আকার ধারণ করেছে।



