বিনোদন

জন্ম নিয়ে বাবা করণের কাছে প্রশ্ন!

মোহনা অনলাইন

২০১৭ সালে সারোগেসির মাধ্যমে বাবা হন অবিবাহিত করণ জোহর। যমজ সন্তানের বাবা হয়েছিলেন বলিউডের এই নামী পরিচালক-প্রযোজক। ছেলে-মেয়ের নাম রাখেন যশ ও রুহি। করণ ছাড়াও তাঁর সেই সন্তানের দেখভাল করতেন তাঁর ৮১ বছরের বৃদ্ধা মা হিরু জোহর।

তবে এতদিন সব ঠিকঠাকই চলছিল। করণের মাকে মাম্মা বলে ডাকে যশ ও রুহি। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে করণ জোহর জানিয়েছেন, তাঁর দুই ছেলেমেয়ে যশ ও রুহি এবার তাঁর কাছে জানতে চাইছেন তাঁদের আসল মা? করণের কথায়, যশ-রুহি এখন তাঁকে জিগ্গেস করছে ‘আমরা কার পেট থেকে জন্মেছি? মাম্মা তো আসলে আমাদের মাম্মা নয়, দাদি (ঠাকুমা)। তাহলে আমাদের আসল মা কে?’

এক পডকাস্টে নিজের যমজ সন্তানদের নিয়ে আলাপচারিতায় অকপটে শোনালেন পিতৃত্বের গল্প।

ফ্যাশন ডিজাইনার এবং অভিনেত্রী মাসাবা গুপ্তার সঙ্গে কথোপকথনের সময় করণ জানান, এখন যশ ও রুহির আট বছর বয়স এবং তাদের মনে প্রশ্ন উঠছে— “আমাদের জন্ম কিভাবে?”

সন্তানদের সেই প্রশ্নে করণের জবাব, “এখনও পর্যন্ত আমি ওদের বলেছি, ‘তোমরা এসেছ আমার হৃদয় থেকে।’ তবে খুব শিগগিরই এই প্রসঙ্গে ওদের সঙ্গে একটা খোলামেলা আলাপ করতে হবে।”

পিতৃত্বের যাত্রা যে সহজ ছিল না, তা স্বীকার করে নিয়েছেন করণ। তবে, সেটাই তার জীবনের সবচেয়ে সেরা সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি। করণের কথায়, “আমার মা হিরু জোহরের সঙ্গে যশ আর রুহিকে বড় করা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত। সবচেয়ে কঠিন, কিন্তু সবচেয়ে সুন্দর।”

যারা ভাবছেন মা নেই বলে শিশুরা ‘মায়ের ভালোবাসা’ থেকে বঞ্চিত, তাদের জন্য করণের বার্তা একেবারে স্পষ্ট—“আমার সন্তানদের কখনোই ভালোবাসার ঘাটতি হয়নি। ওদের আশেপাশে আমার মা আছেন, আছে আমার ‘ফাউন্ড ফ্যামিলি’— পুতলু (কাজল আনন্দ), শ্বেতা (বচ্চন), গৌরী (খান), ফারাহ (খান), নেহা (ধুপিয়া)— সবাই ওদের ভালোবাসায় ভরিয়ে রেখেছেন।”

সিনেমার পর্দায় সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে যিনি খেলেন নিপুণ হাতে, বাস্তব জীবনে তার এই সোজাসাপটা, সাহসী স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে দেয়— কথা যেমন বলা উচিত, তেমনটা বলাই করণ জোহর জানেন।

করণ জোহর বলেন, ‘আমি এখন বাচ্চাদের স্কুলে যাচ্ছি, কাউন্সেলরের কাছে যাচ্ছি, কারণ, এটা জিগ্গেস করতে যে এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেব? বিষয়টা মোটেও সহজ নয়। একসঙ্গে বাবা-মা হওয়া সহজ নয়।’

 

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button