
ইসরায়েল বর্তমানে প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ‘অ্যারো ইন্টারসেপ্টর’-এর সংকটে রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান থেকে ছোড়া দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার সক্ষমতা হুমকির মুখে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন কয়েক মাস ধরেই এই সংকট সম্পর্কে অবগত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদারে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা মোতায়েন করছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের দিকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ফাত্তাহ-১ নিক্ষেপ করেছে। এক বিবৃতিতে আইআরজিসি দাবি করে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ঢাল ভেঙে আকাশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম। যদিও এই দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে উন্মোচিত এই ‘ফাত্তাহ’ ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। আইআরজিসি একে ‘ইসরায়েল বিধ্বংসী’ ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে। উন্মোচনের সময় তেহরানে হিব্রু ভাষায় লেখা বিশাল একটি ব্যানারে লেখা ছিল: “৪০০ সেকেন্ডে তেল আবিবে।”
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গত কয়েক ঘণ্টায় ইরানের অভ্যন্তরে ৫০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে। লক্ষ্য ছিল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি অস্ত্র কারখানা।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচ দিনে ইসরায়েলের বিমান হামলা ও ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলায় অন্তত ৫৮৫ জন নিহত এবং ১,৩২৬ জন আহত হয়েছেন।