গুম-সংক্রান্ত জাতীয় তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ বিশ্লেষণের পর ২৫৩টি গুমের ঘটনার অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে ঢাকার গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে বিচারপতি মইনুল বলেন, “২৫৩ জন নিখোঁজ ব্যক্তির তথ্যভিত্তিক একটি দলিল তৈরি করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিচ্ছিন্ন থেকেও ভুক্তভোগীরা প্রায় একই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। বিষয়টি নিছক কাকতালীয় নয়। সব ক্ষেত্রেই নির্যাতনের ধরণ, সন্ত্রাসী তকমা আর একই ধরনের আইনি অভিযোগে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “শাসন দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যেই এসব গুম সংঘটিত হয়েছে। তবে ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই জড়িতদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবুও সংশ্লিষ্ট অনেক ব্যক্তির বিদেশগমন স্থগিত করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ করা ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ গুমের শিকার হয়েছেন কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।



