Top Newsজাতীয়

প্রায় ৮ শতাংশ মানুষ সন্ধ্যার পর বাড়িতেও নিরাপদ বোধ করেন না

মোহনা অনলাইন

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৪’ অনুযায়ী, দেশের নাগরিকদের একটি বড় অংশ সন্ধ্যার পর নিজেদের এলাকাতেও নিরাপদ বোধ করেন না। প্রতিবেদন বলছে, ১৫ শতাংশের বেশি মানুষ নিজ এলাকায়, এবং প্রায় ৭.৫ শতাংশ মানুষ নিজ বাড়িতেও নিরাপদ বোধ করেন না।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশের ৬৪ জেলার ১,৯২০টি প্রাথমিক স্যাম্পলিং ইউনিটে ৪৫,৮৮৮টি খানায় বসবাসকারী ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী ৮৪,৮০৭ জন নারী-পুরুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। জরিপটি জাতিসংঘ নির্ধারিত আন্তর্জাতিক মান ও পদ্ধতি অনুসরণ করে পরিচালিত হয়।

নাগরিকদের নিরাপত্তাবোধ

নিজ এলাকায় সন্ধ্যার পর একা চলাফেরায় নিরাপদ বোধ করেন, মোট ৮৪.৮১%

    • পুরুষ: ৮৯.৫৩%

    • নারী: ৮০.৬৭%

    • শহরাঞ্চল: ৮৩.৭৫%

    • গ্রামাঞ্চল: ৮৫.৩০%

    • নিজ বাড়িতে সন্ধ্যার পর নিরাপদ বোধ করেন:
      মোট ৯২.৫৪%

    • পুরুষ: ৯৩.৩৫%

    • নারী: ৯১.৮২%

মতপ্রকাশ ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণ

    • সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মতপ্রকাশ করতে পারেন বলে মনে করেন: ২৭.২৪%

    • পুরুষ: ৩১.৮৬%

    • নারী: ২৩.০২%

    • রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন বলে মনে করেন: ২১.৯৯%

    • পুরুষ: ২৬.৫৫%

    • নারী: ১৭.৮১%

সরকারি সেবা

    • গত এক বছরে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন: ৪৭.১২%

    • তাদের মধ্যে ৮২.৭২% মনে করেন, সেবা সহজে প্রাপ্তিযোগ্য এবং খরচ সামর্থ্যের মধ্যে ছিল।

    • সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
      ৪০.৯৩% নাগরিকের অন্তত এক শিশু প্রাথমিক বা মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। এর মধ্যে ৯৬.৪৬% মনে করেন, এসব প্রতিষ্ঠানে পৌঁছানো সহজ (৩০ মিনিটের মধ্যে)।

    • পরিচয়পত্র বা নাগরিক নিবন্ধন সেবা:

    • সেবাপ্রাপ্যতা সন্তোষজনক মনে করেন: ৭৮.১২%

    • সেবার খরচ সামর্থ্যের মধ্যে মনে করেন: ৮৬%

ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার

 গত দুই বছরে ১৬.১৬% নাগরিক কোনো বিবাদে জড়িয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮৩.৬০% কোনো না কোনো আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রাপ্ত হয়েছেন।

  • আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা (আদালত, পুলিশ ইত্যাদি): ৪১.৩৪%

  • অনানুষ্ঠানিক ব্যবস্থা (কমিউনিটি নেতা, আইনজীবী ইত্যাদি): ৬৮.৯৬%

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button