
ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। রোববার (২২ জুন) ভোরে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আইডিএফ-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার হুমকি মোকাবিলায় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সংবাদদাতা হুগো বাচেগা জেরুজালেম থেকে জানিয়েছেন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পর শহরজুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। জর্ডানের রাজধানী আম্মানেও সকালের দিকে দুই দফা সাইরেন বেজে উঠেছে, যা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথে ইসরায়েলের দিকে অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
যদিও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর লক্ষ্যবস্তু ছিল না জর্ডান, তবে জর্ডান সরকার আশঙ্কা করেছিল, সেগুলো তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে পারে। ফলে, দেশটির বিমান বাহিনী বেশ কিছু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করে। এতে আকাশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে।
এই সংঘাতের প্রভাবে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রুটে বিমান চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন দেখা দিয়েছে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় রাতের আঁধারে হামলা চালায়। হামলার লক্ষ্য ছিল ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের পারমাণবিক কেন্দ্র। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাগচি। তিনি এ হামলাকে ‘গর্হিত’ উল্লেখ করে বলেন, “ইরান তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সব ধরনের বিকল্প প্রস্তুত রেখেছে।”
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, “আজকের হামলাগুলো ভয়াবহ এবং এর পরিণতি দীর্ঘমেয়াদি হবে। জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে এই বিপজ্জনক ও আইন লঙ্ঘনকারী আচরণের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “জাতিসংঘ সনদের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।”