যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে গবেষণা করা অলাভজনক সংস্থা কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপনসিবল স্টেটক্রাফট-এর নির্বাহী সহ-সভাপতি ত্রিতা পার্সি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইরান হুমকি হয়ে উঠেছিল—এই দাবির পক্ষে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “তা ছিল না অস্তিত্বগত হুমকি, না ছিল আসন্ন।”
ত্রিতা পার্সি আরও বলেন, “বাস্তবতা হলো, দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ—ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র—একটি অ-পারমাণবিক রাষ্ট্র ইরানের ওপর হামলা চালিয়েছে, যদিও ইরান তাদের আক্রমণ করেনি। সংঘাত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররাই।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “এই হামলা বিশ্বজুড়ে প্রভাব ফেলবে। অনেক দেশ, যারা যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের টার্গেট হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে, তারা পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা ছাড়া নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারবে না। ফলে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারের আশঙ্কা বাড়ছে।”
পার্সির মতে, “এই হামলার পর ইরান আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হয়ে উঠবে—এটা এখন প্রায় নিশ্চিত।”
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামিসহ একাধিক শীর্ষ সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। ইরান জানায়, হামলায় ছয়জন পরমাণুবিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন।
এ পরিস্থিতিতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ-এর ইরানবিষয়ক বিশ্লেষক আলী ভায়েজ সতর্ক করে বলেন, “পারমাণবিক স্থাপনায় এ ধরনের হামলা ইরানকে দ্রুত পারমাণবিক বোমা তৈরির পথে ঠেলে দিতে পারে।”
এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে এবং ইরানের পারমাণবিক নীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে।



