রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল পুলিশ। তবে বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা সরকার এই রিমান্ডের আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে ২৩ জুন এই মামলায় সাবেক সিইসি এ কে এম নূরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
বিএনপির পক্ষ থেকে ২২ জুন দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে এবং বরং ভয়ভীতি ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। ২৫ জুন মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।
মামলায় ২০১৪ সালের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের এ কে এম নূরুল হুদা এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন পরিচালনাকারী সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও সাবেক পাঁচ আইজিপি—হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন—ও মামলার আসামি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনটি জাতীয় নির্বাচনে “গায়েবি মামলা”, “অপহরণ, গুম, খুন ও নির্যাতন” এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের “গণগ্রেপ্তারের” মাধ্যমে তাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হয়। নির্বাচন কমিশন সংবিধান ও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, সরকারি দায়িত্বে থেকেও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ করেছে এবং জনগণের ভোট ছাড়াই বিজয় ঘোষণা করে।
অভিযোগকারীদের দাবি, দেশের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের সাধারণ ভোটার, ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সৎ প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার এবং স্থানীয় জনগণ—এরা প্রত্যেকেই এ ঘটনার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সাক্ষী। ব্যালট পেপারে থাকা সিল ও স্বাক্ষরের সূত্র ধরেও প্রকৃত ভোটারদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।



