২৯তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের প্রায় ১৩ মাস পর নন-ক্যাডারে উত্তীর্ণ ২১ জনকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ক্যাডারভুক্ত করে নিয়োগের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ২৯তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ এবং গেজেট বিজ্ঞপ্তির ১৩ মাস পর নন-ক্যাডার পদে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা নিয়মবহির্ভূত। এ বিষয়ে দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
দুদক সূত্র জানায়, ২৯তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে এবং চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের মার্চে। তবে প্রায় ১৩ মাস পর, ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) অতিরিক্ত কিছু প্রার্থীকে ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। এ সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক ও আইনি দিক থেকে প্রশ্নবিদ্ধ ও সমালোচিত হয়।
অভিযোগের আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত ২১ জনের মধ্যে রয়েছেন—
-
প্রশাসন ক্যাডারে ৫ জন
-
শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারে ৪ জন
-
পুলিশ ক্যাডারে ২ জন
-
কর ক্যাডারে ৩ জন
-
ইকোনমিক ক্যাডারে ২ জন
-
পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে ২ জন
-
পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১ জন
-
আনসার ক্যাডারে ১ জন
-
সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ১ জন
দুদক বলছে, পুরো প্রক্রিয়াটি তদন্ত করে দেখা হবে নিয়োগে কারা জড়িত এবং আদৌ তা নৈতিক ও আইনি ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য কি না।



