কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।
তিনি জানান, আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়া ফজর আলীকে চিকিৎসা শেষে আদালতে হাজির করা হবে। একইসঙ্গে, নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মুরাদনগরের পাঁচকিত্তা এলাকা থেকে অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু নামে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক একটি মামলা করা হবে।
জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে মুরাদনগরের একটি গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলীকে আটক করা হয়। স্থানীয়রা তাকে মারধর করে, কিন্তু পরে সে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় কয়েকজন ভুক্তভোগীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে তা সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়, যা নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, শুক্রবার ভুক্তভোগী এক হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে তার মেডিকেল পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহ আগে ওই নারী বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর তার বাবা-মা বাইরে গেলে ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। তাদের পারিবারিক পরিচয় ছিল একটি আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরে।



