বগুড়া সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগেই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এরপর নাগরিকদের আবেদনের ভিত্তিতে গণশুনানিও সম্পন্ন হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার গেজেট প্রকাশের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রোববার বা সোমবারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হবে। বগুড়া পৌরসভা ইতিমধ্যেই সিটি করপোরেশনের সব শর্ত পূরণ করেছে। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এর আগে, গত ২৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজ স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) প্রতিষ্ঠা বিধিমালা অনুযায়ী গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এতে বগুড়া পৌর এলাকার সম্প্রসারণ ও সিটি করপোরেশন গঠনের প্রস্তাব দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ বা পরামর্শ চাওয়া হয়।
এই সময়ের মধ্যে জলেশ্বরীতলা, কুটুরবাড়ি, শাকপালা, ওয়ার্ড ৭-এর বিভিন্ন বাসিন্দা ও সংগঠন জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন। আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক আসম আব্দুল মালেক, আল আমিন, শহিদুল ইসলাম, আহম্মেদ কবির মিন্টু, মোস্তাফিজুর রহমান ও বিএএফ শাহীন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
নগর উন্নয়ন ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক মালেক তাঁর আবেদনে ছয়টি ইউনিয়ন—সাবগ্রাম, রাজাপুর, নিশিন্দারা, এরুলিয়া, ফাঁপোড় ও আশেকপুর—সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, বগুড়া শহর দ্রুত নগরায়িত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজন বিবেচনায় সদর উপজেলা ও শাজাহানপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন যুক্ত করা উচিত।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রজ্ঞাপন ও ২০১০ সালের সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা বিধিমালার ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বগুড়া পৌরসভা সিটি করপোরেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণ করেছে।
বগুড়া পৌরসভার প্রশাসক মাসুম আলী বেগ জানান, আবেদনকারীদের মতামতের সারসংক্ষেপসহ দ্রুত সিটি করপোরেশন ঘোষণার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজ বলেন, “সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য বগুড়া এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমরা দ্রুত গেজেট প্রকাশ ও প্রশাসক নিয়োগের জন্য চিঠি পাঠাচ্ছি।”



