আন্তর্জাতিক

বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে ভারত, পাতালেও হবে শত্রুবিনাশ

মোহনা অনলাইন

ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমা মারার পর ভারতও এই জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্র মজুত রাখার গুরুত্ব টের পেয়েছে। তাই খুব দ্রুত মাটির তলায় আঘাতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি দেখে অস্ত্রভাঁড়ারের দিকে মন দিতে চলেছে নয়াদিল্লি।

যার মধ্যে অগ্রাধিকার পেতে চলেছে, ড্রোন ও বোমারু বিমান বিধ্বংসী আকাশ রক্ষাকবচ, হাইপারসনিক মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, আন্তর্মহাদেশীয় পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং শত্রুর বাঙ্কার ধ্বংস করার উপযোগী অস্ত্র।

ভবিষ্যতের যুদ্ধ কৌশলের কথা মাথায় রেখে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেদিকেই এগতে চাইছে। এই কাজে হাত দিয়েছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। তারা অগ্নি-৫ নামের আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলকেই আরও উন্নত করার গবেষণায় নেমেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে শত্রুঘাঁটি বিনষ্ট করতে সক্ষম। ৫০০০ কিমি বা তার বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারে। এমনকী পরমাণু অস্ত্র বহনেও সক্ষম।

নতুন জাতের অগ্নি-৫কে এত ক্ষমতার উপরেও ৭৫০০ কেজির বাঙ্কার বিধ্বংসী অস্ত্রে সজ্জিত করার গবেষণা চালাচ্ছে ডিআরডিও। ক্ষেপণাস্ত্রটিকে কংক্রিটের চাদরের নীচে, মাটির তলায় লুকিয়ে থাকা শত্রুশিবির ধ্বংসের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। যে বোমা ফেটে পড়ার আগে মাটির ৮০ থেকে ১০০ মিটার গভীরে পৌঁছতে পারবে। প্রসঙ্গত, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকা এর থেকেও বহু গুণে শক্তিশালী বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমা জিবিইউ-৫৭ প্রয়োগ করেছিল। এই বোমা মাটির ২০০ মিটার নীচে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম।

তবে আমেরিকা এই বোমা নিয়ে যেতে বিশালাকার বিমান তৈরি করেছে। সে জায়গায় খরচ বাঁচাতে ক্ষেপণাস্ত্রকেই এই কাজে ব্যবহার করতে দেশীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি কৌশল নিয়ে এগতে চায় ডিআরডিও। অগ্নি-৫-এর নতুন দুটি রূপ নিয়ে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। একটি হচ্ছে মাটির উপরে বাতাসে ফাটার উপযোগী এবং দ্বিতীয়টি হল মাটির নীচে সেঁদিয়ে গিয়ে লুকিয়ে থাকা শত্রুকে সুনির্দিষ্ট কৌশলে খতম করা।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button