তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক সংক্রান্ত দ্বিপক্ষীয় আলোচনার দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শেষ হয়েছে। আলোচনায় চলমান ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কিছু বিষয়ে সমঝোতা হলেও বেশ কিছু ইস্যু এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
তৃতীয় দিনের আলোচনা আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) ওয়াশিংটন সময় সকাল ৯টায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দ্বিতীয় দিনের আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন ও যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাম্বাসেডর জেমিসন গ্রিয়ারের একান্ত বৈঠক। ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক এই কর্মকর্তা ও শেখ বশিরের মধ্যে শুল্কসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়।
আলোচনায় শেখ বশির উদ্দিন বাংলাদেশের সামগ্রিক বাণিজ্য পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ শুধু যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি নয়, আমদানিও বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। শুল্ক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ন্যায্যতা প্রত্যাশা করে এবং চায় যেন বাণিজ্য পরিবেশ তার জন্য প্রতিযোগিতামূলক থাকে। জেমিসন গ্রিয়ার বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরীসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।



