বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই মাদারীপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিদিনই নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। মোট আক্রান্তের অর্ধেকই রাজৈর উপজেলার বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ। মাদারীপুর ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিনিয়ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না শিশু-কিশোররাও। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট খোলা হয়েছে।
চরকাকৈর গ্রামের ৭৩ বছর বয়সী সামাদ মাদবর ও তার ছেলে হারুণ মাদবর কৃষিকাজ করেন। জ্বর, কাপুনি ও মাথাব্যথা নিয়ে তারা শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে ভর্তি।
রাজৈরের আরও রোগী, যেমন টেকেরহাটের দিনমজুর শাহীন মাদবর, ফল বিক্রেতা নুর ইসলাম এবং ৬ বছর বয়সী শিশু তাইজুলও একইভাবে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাসাবাড়ির আঙিনা, বদ্ধ ড্রেন ও জমে থাকা পানিতে এডিস মশার প্রজনন বেড়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ে সহজেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে অন্যদের শরীরে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে ২০০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। রাজৈর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরের সীমানাবর্তী হওয়ায় রাজৈরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শরীফুল আবেদীন কমল জানান, “জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই।”



