যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রাজিল থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছেন। এই পদক্ষেপ কফি ও বার্গারের মাংসের মতো জনপ্রিয় পণ্যের দামে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিশ্বের বৃহত্তম কফি উৎপাদক ও রপ্তানিকারক ব্রাজিল থেকে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ৮.১৪ মিলিয়ন ৬০-কেজি ব্যাগ কফি আমদানি করেছে, যা দেশটির মোট চাহিদার ৩৩ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপে এই আমদানি কার্যত বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এমজে নিউজেন্ট অ্যান্ড কো’র মালিক মাইকেল নিউজেন্ট বলেন, “এই শুল্কে আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। বিকল্প দেশগুলো থেকে কফি পাওয়া যাবে না একই দামে বা পরিমাণে।”
বিশ্ববাজারে এরই মধ্যে কফির দাম চড়া। গত বছর দাম বেড়েছিল ৭০ শতাংশ। এবার শুল্কের প্রভাবেও আরেক দফা মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে আরাবিকা কফির ফিউচার মূল্য ১.৩ শতাংশ বেড়েছে।
একইভাবে বার্গারের মূল উপাদান গরুর মাংসের দামও বাড়তে পারে। স্থানীয় গরুর সরবরাহ কমে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এখন আমদানির ওপর বেশি নির্ভরশীল। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানি দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩ মেট্রিক টন, যা মোট আমদানির ২১ শতাংশ। তবে নতুন শুল্কে ব্রাজিল থেকে আমদানির খরচ ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে, যা আমদানি কার্যত অচল করে দেবে।
বিফ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক বব চুডি বলেন, “শুল্ক এভাবে বাড়লে এক পাউন্ড মাংসও আমদানি করা সম্ভব হবে না। পুরো আমদানি ব্যবসা স্থবির হয়ে পড়বে।”
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, কফি ও মাংসের পাশাপাশি কমলার রসসহ আরও অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে পারে এই শুল্কের প্রভাবে।



