ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দিতে সরব যুক্তরাজ্যের অর্ধশতাধিক এমপি
মোহনা অনলাইন
গাজায় চলমান ‘জাতিগত নিধন’ বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির প্রায় ৬০ জন এমপি। একই সঙ্গে তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার (১৩ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এই তথ্য জানায়।
‘লেবার ফ্রেন্ডস অব ফিলিস্তিন অ্যান্ড দ্য মিডল ইস্ট’-এর উদ্যোগে চিঠিটি বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির কাছে পাঠানো হয়। এতে লেবার পার্টির মধ্যপন্থি ও বামঘরানার ৫৯ জন এমপি স্বাক্ষর করেন।
চিঠিতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ‘ত্রাণের অজুহাতে’ তাবু শহর গড়ে তোলার ইসরায়েলি পরিকল্পনার বিরোধিতা করা হয়। এমপিরা হুঁশিয়ার করে বলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি মুছে ফেলার চেষ্টা হবে—যা জাতিগত নিধনের শামিল।
চিঠিতে আরও বলা হয়, “ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাম্প্রতিক ঘোষণার পর আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে, গাজার সব বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে রাফাহর ধ্বংসস্তূপে একটি ক্যাম্পে জোরপূর্বক স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে তাদের বের হওয়ার কোনো পথ থাকবে না। আমরা এটিকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে বিবেচনা করছি।”
এমপিরা যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। দাবিগুলো হলো-ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তায় জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র অর্থায়ন পুনরায় চালু করা, জিম্মিদের মুক্তির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, অধিকৃত পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি বসতিতে উৎপাদিত পণ্যের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ
তারা লিখেছেন, “ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে আমরা নিজেদের ঘোষিত দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের নীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছি। এতে এই বার্তাও দেওয়া হচ্ছে যে, বর্তমান সংকট চলতেই থাকবে, যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ধীরে ধীরে দখলের পথে এগোবে।”
উল্লেখ্য, নতুন লেবার প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাজ্য সরকার এখনো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অবস্থান পরিবর্তন করেনি। গাজায় যুদ্ধ ইতোমধ্যে দশম মাসে গড়িয়েছে। এ সময় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, জনগণের স্থানচ্যুতি এবং যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা ভেঙে পড়ার বিষয়টি সামনে এসেছে বলে জানায় ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো।



