মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনা ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সারাদেশে।
সামাজিক মাধ্যমে এই হত্যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান অন্তবর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তার সেই পোস্টের স্ক্রিনশট নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেন নির্মাতা আশফাক নিপুন।
গতকাল শনিবার দেওয়া ওই পোস্টে নিপুন লেখেন, “আপনার মতো তরুণদের দিকে আমার মতো পুরো দেশ তাকিয়ে আছে। এইসব চাঁদাবাজি, দখলবাজি, জের ধরে খুনোখুনি—এই নৈরাজ্য ঠেকাতে ব্যর্থতার দায় আপনার সরকারের ওপরেও বর্তায়। দায় না নিয়ে হাসান মাহমুদের মতো দায় চাপানোর চটকদার রাজনীতি আমরা নতুন কোনো সরকারের মধ্যে দেখতে চাই না।”
নিপুনের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রায় এক ঘণ্টা পর উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার মন্তব্যের ঘরে লিখেন, “কঠোর হস্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি নিপুন ভাই।”
তিনি লেখেন, “মুরাদনগরে হাতেনাতে ধরা পড়া এক চাঁদাবাজকে ছাড়াতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা থানায় হামলা চালায়। তিন ঘণ্টার ওই হামলায় ভাঙচুর হয়, পুলিশ ও সাধারণ মানুষ আহত হয়। কুমিল্লা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স ও যৌথ বাহিনী এসে থানা রক্ষা করে। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। আমি স্থানীয় পুলিশকে কঠোর হতে নির্দেশ দেই। ওই ঘটনায় ৭ জন গ্রেপ্তার হয় (যদিও মাসখানেকের মধ্যেই তারা জামিনে মুক্তি পায়)।”
তিনি আরও লেখেন, “এই কঠোর হওয়ার ‘অপরাধে’ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির একজন উচ্চপর্যায়ের নেতা অভিযোগ করে বসেন যে আমার ‘যন্ত্রণায়’ মুরাদনগরের বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আমাদের সরকারের সবাই তো বিপ্লবী না—অনেক সময় কঠোর হওয়াটাও অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।”
পোস্টের শেষাংশে উপদেষ্টা লিখেছেন, “মিডিয়ায় এসে বলবে, ইন্টারিম ব্যবস্থা নেয় না কেন; অথচ অভ্যন্তরীণ বৈঠকে সন্ত্রাসীদের ইমিউনিটি দেবে। সন্ত্রাসীরা যখন উচ্চপর্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় থাকে, তখন আইনশৃঙ্খলা ভালো থাকবে কীভাবে? আর প্রশাসনযন্ত্রের ৫–১০% লোক ছাড়া বাকি সবাই চরিত্রগতভাবে ক্ষমতার গোলাম। এই সরকার আর কয়দিন?”



