Top Newsজাতীয়

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রিট শুনব না : হাইকোর্ট

মোহনা অনলাইন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে আর কোনো রিট আমলে নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এমনই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এদিন প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার।

বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী রিটকারীর আইনজীবী সরদার আবুল হোসেনকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আগে রিট নিয়ে এসেছিল। আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি। ঢাবির ভিসি আমার আত্মীয়। তা ছাড়া, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগ ইনটারফেয়ার করেছে। তাই আমরা ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রিট শুনব না।

আদালত বলেন, আপনারা ভুল বুঝিয়ে রিটটি মেনশন করেছেন। আমরা যদি জানতাম এটা ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তাহলে এটা নিতাম না।

পরে আদালত রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার; যিনি ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী হয়েছিলেন। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় নাম ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। ডাকসু নির্বাচনের পাশাপাশি ডাকসু হল সংসদ নির্বাচনও স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ও ব্যালট নম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয় রিটে।

প্রসঙ্গত, ডাকসু নির্বাচনে জুলিয়াস সিজার তালুকদার ভিপি প্রার্থী হয়েছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। চূড়ান্ত তালিকায় ভিপি প্রার্থী হিসেবে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ছিল। তার ব্যালট নম্বর ছিল ২৬।

চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সলিমুল্লাহ মুসিলিম হলের হাউজ টিউটর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ দেন। পরে অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে শুনানি হয়। কিন্তু নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে তার প্রার্থিতার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠায়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর বাদ দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে জুলিয়াস সিজার তালুকদারকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে গত ২৭ আগস্ট চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। এতে কাজ না হওয়ায় প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার।

 

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button