নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর বিক্ষোভ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) শত শত বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে মূল ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সংসদ সচিবালয়ের মুখপাত্র একরাম গিরি অভিযোগ করে বলেন, বিক্ষোভকারীরা সংসদ এলাকায় প্রবেশ করে অগ্নিসংযোগ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে কাঠমান্ডু মহানগরের মেয়র বালেন্দ্র শাহ শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
খবরে বলা হয়, জেন-জিদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা দুঃসাহসী আন্দোলনের চাপেই পদত্যাগে বাধ্য হন কেপি শর্মা ওলি। কিন্তু এরপরও উত্তেজনা থামেনি। বিক্ষোভকারীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাসহ একাধিক শীর্ষ রাজনীতিকের বাড়িঘরে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে।
এরপর পার্লামেন্ট ভবনে অগ্নিসংযোগ করা হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা কাঠামোগত সংস্কার এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের জবাবদিহি দাবি করে আসছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে মেয়র বালেন্দ্র শাহ ফেসবুকে লিখেছেন,
“প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। তাই এখন প্রাণহানি ও সম্পদ ক্ষতির দিকে যাওয়া উচিত নয়। সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ আসলে জনগণেরই সম্পদ। দয়া করে শান্ত থাকুন। জাতীয় সম্পদের ক্ষতি মানে আমাদের সবার ক্ষতি। এখন আমাদের সবার সংযম প্রদর্শনের সময়। এখান থেকে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের প্রজন্মের।”
এর আগে সোমবার দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং ৪০০ জনের বেশি আহত হন।



