ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন জুলাই আন্দোলনের পরিচিত মুখ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বি। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭৭ ভোট। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এবারের নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম)। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৫৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট এবং শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮১ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের এস এম ফরহাদ। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের আবু বাকের মজুমদার পেয়েছেন ২ হাজার ১৩১ ভোট।
সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয় পেয়েছেন মহিউদ্দিন খান। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট।
ভিপি পদে প্রায় সব হলে এগিয়ে থাকলেও ব্যতিক্রম ছিল জগন্নাথ হল। সেখানে সাদিক কায়েম পেয়েছেন মাত্র ১০ ভোট, আর আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ১ হাজার ২৭৬ ভোট।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে গভীর রাতে (রাত ২টার দিকে) ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন—এর মধ্যে ১৮ হাজার ৯৫৯ জন ছাত্রী এবং ২০ হাজার ৯১৫ জন ছাত্র।
ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। হল সংসদের ১৮টি হলে মোট ২৩৪টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১ হাজার ৩৫ জন। প্রতিটি ভোটারকে দিতে হয়েছে ৪১টি করে ভোট।
তবে নির্বাচনের ফলাফল ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছেন ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা। এছাড়া প্রার্থী আবদুল কাদের নির্বাচন নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলে কঠোর সমালোচনা করেছেন।



