যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে কাতারকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামলার পরিকল্পনার কথা আগে জানিয়েছিলেন। তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিলেও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছিলেন। পরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্টিফ উইটকফের মাধ্যমে দোহাকে সতর্কবার্তা পাঠান।
লিভিট আরও জানান, কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটির মাধ্যমেও পুনরায় সতর্ক করা হয়েছিল। হামলার পর ট্রাম্প কাতারি নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে কাতারের ভূখণ্ডে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র দেশ কাতার, যেখানে বড় একটি মার্কিন সেনাঘাঁটি রয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস–ইসরায়েল সংঘাতকালে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে।
গত মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়। লক্ষ্য ছিল হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল হায়া এবং পশ্চিম তীর শাখার নেতা জাহের জাবারিন। এতে অন্তত ৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ৫ জন হামাসের সদস্য। তবে হামাস দাবি করেছে, নিহতদের মধ্যে তাদের কোনো শীর্ষ নেতা নেই।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, “হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। তবে দোহায় হামলা সে লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে না।”



