Top Newsআন্তর্জাতিক

ভারত-চিনের ওপর ১০০% শুল্ক বসাতে ট্রাম্পের বার্তা

মোহনা অনলাইন

আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও চীনের ওপর আরও বেশি শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রুশ তেলের বড় ক্রেতা এই দুই দেশের আমদানির ওপর এবার সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানোর প্রস্তাব তুলেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

এর আগে ভারতীয় আমদানির ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসিয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও একই পথে হাঁটার আহ্বান জানিয়েছেন। ওয়াশিংটনে সিনিয়র মার্কিন ও ইইউ কর্মকর্তাদের বৈঠকে ফোনে যুক্ত হয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমরা প্রস্তুত, এখনই প্রস্তুত। তবে ইউরোপীয় অংশীদারদেরও আমাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ মূলত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপে রাখার কৌশল। এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য রাশিয়াকে ৫০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এখন ভারত ও চীনকে চাপ দিয়ে তিনি সেই অবস্থান আরও কড়া করতে চাইছেন।

চীনের ক্ষেত্রে বর্তমানে ৩০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক দেশ হওয়া সত্ত্বেও এতদিন শুল্ক বৃদ্ধিতে বিরত ছিল ওয়াশিংটন। এবার চীনের ক্ষেত্রেও শুল্ক ১০০ শতাংশে পৌঁছতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প চান “নাটকীয় শুল্ক” এবং তা বহাল থাকবে যতদিন না বেইজিং রুশ তেল আমদানি বন্ধ করে।

এমন সময়ে এই খবর সামনে এল, যখন সম্প্রতি তিয়ানজিনে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাদের একসঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল মুহূর্তের ছবি ট্রাম্প ট্রুথ সোশালে শেয়ার করে লিখেছিলেন, “দেখে মনে হচ্ছে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে হারালাম অন্ধকারতম চীনের কাছে।”

তবে পরে সুর নরম করেন তিনি। ভারত–আমেরিকা সম্পর্ককে ‘‘বিশেষ’’ বলে আখ্যা দেন এবং মোদীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন। সর্বশেষ পোস্টে তিনি আশ্বাস দেন, বাণিজ্য বাধা দূর করতে আলোচনার পথেই এগোবে দুই দেশ এবং তিনি শিগগিরই মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন।

উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ভারতের মোট তেল আমদানির প্রায় ৩৫ শতাংশ এসেছে রাশিয়া থেকে—যা দিল্লিকে মস্কোর অন্যতম বড় ক্রেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ফলে ট্রাম্পের এই নতুন শুল্ক-হুমকি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য আলোচনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button