প্রায় ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল সোয়া আটটার দিকে ক্যাম্পাসের পেছনে গেরুয়া ফটকে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ সংবলিত ব্যানার ঝোলানো হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (পিপিএম) আনিসুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ঝুঁকি নেই। তবে অন্যান্য ফটকের তুলনায় গেরুয়া ফটক দিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশের চেষ্টা হতে পারে। এ কারণে সেখানে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বুধবার রাজধানীতে সাংবাদিকদের জানান, জাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবি—সব বাহিনীই মাঠে থাকবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও সতর্ক অবস্থায় থাকবে এবং প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক চর্চার পরিবেশ ফিরে আসবে।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ প্রার্থী এবং হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে লড়ছেন ৯ জন এবং জিএস পদে ৮ জন। সম্প্রতি গঠনতন্ত্র সংস্কার করে কেন্দ্রীয় সংসদের পদসংখ্যা ১৪ থেকে বাড়িয়ে ২৫ করা হয়েছে, যার মধ্যে ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে ৬টি পদ। নেতৃত্বে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে নেওয়া হয়েছে এ উদ্যোগ।
৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত এই জাকসু নির্বাচনে ক্যাম্পাসের সক্রিয় সব সংগঠন অংশ নিচ্ছে।



