ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান। এতে সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদসহ পরিষদের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি জানান, নির্বাচনী প্রচারণার মতোই এখনো শিক্ষার্থীদের কাছে ‘ডোর টু ডোর’ যাবেন।
সাদিক বলেন, “ডাকসুতে আমরা কেউ এককভাবে জয়ী হইনি। ডাকসু হয়েছে মানেই আমরা সবাই জিতেছি, জুলাই জিতেছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “নির্বাচনের আগে যেমন শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়েছি, এখনো তেমনি যাব।”
ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, “যে মতাদর্শেরই হোক না কেন, আমরা সব শিক্ষার্থীর জন্য কাজ করব, তাদের কণ্ঠস্বর হতে চাই।”
তিনি জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যে এক বছরের নির্বাহী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া সিনেট ভবনে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে পাঁচজনকে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ নিয়েও আলোচনা চলছে এবং তা শিগগির গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৭১ জন প্রার্থী। আর ১৮টি হলে ১৩টি করে মোট ২৩৪টি পদের জন্য লড়েন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী।
নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস), সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস)সহ মোট ২৩টি পদে বিজয়ী হন।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন তিনটি সম্পাদক পদে। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন জুলাই আন্দোলনের আলোচিত মুখ সানজিদা আহমেদ তন্বি এবং সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন মো. যুবাইর বিন নেছারী (এবি জুবায়ের)। সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন হেমা চাকমা ও উম্মু উসউয়াতুন রাফিয়া।



