আগামী তিন দিনে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, এই সময়ে তিস্তা নদীর পানি লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের কিছু এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু অংশ এবং ভারতের ত্রিপুরা ও আসামের উজানে বৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টায় (১২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত) রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ এবং ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম প্রদেশে বিচ্ছিন্নভাবে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাব রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি করতে পারে।
এ সময় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া টাঙ্গন, পুনর্ভবা, আপার আত্রাই, আপার করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি সমতলও আগামী তিন দিনে বৃদ্ধি পেতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে পরবর্তী চার দিনে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে, যদিও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।



