বাগেরহাটে সংসদীয় আসন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চার আসন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে তিনদিনের হরতাল কর্মসূচির প্রথম দিন পালিত হচ্ছে। এ সময় দূরপাল্লার পরিবহন ও ট্রাক ছাড়া তিন চাকার যানবাহন এবং মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। সরকারি অফিস-আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন সম্মিলিত সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক এম.এ. সালাম।
এর আগে গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এ. সালাম।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন ভোটার সংখ্যা কম হওয়ায় রামপাল-মোংলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-৩ আসন বাতিল করে গাজীপুরে নতুন আসন সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেয়। এ ঘোষণার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে বাগেরহাটের রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ। গত ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে শুনানি করলেও কোনো সমাধান হয়নি। অবশেষে ৪ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে বাগেরহাটে চারটি আসনের পরিবর্তে তিনটি আসন চূড়ান্ত করে ইসি।
এর প্রতিবাদে হরতাল-অবরোধসহ নানা আন্দোলনে নেমেছে বাগেরহাটবাসী। তাদের দাবি, যে কোনো মূল্যে বাগেরহাটের চারটি আসন ফিরিয়ে দিতে হবে। আসন ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত লাগাতার হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
নির্বাচন কমিশনের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, এখন বাগেরহাট-১ আসনে থাকবে সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট, বাগেরহাট-২ আসনে ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা এবং বাগেরহাট-৩ আসনে কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।



