ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আজ তিনি সাক্ষ্য দেবেন।
এর আগে গত বুধবার প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানিয়েছিলেন, ওইদিন সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল মাহমুদুর রহমান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নাহিদের। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে তারা উপস্থিত হতে পারেননি। পরে প্রসিকিউশনের আবেদনে ১৫ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১।
প্রসিকিউটর তামিম জানান, এই মামলায় ৮১ জন সাক্ষীর তালিকা দাখিল করা হয়েছিল, এর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্য ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। কয়েকজন সাক্ষী ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরবেন। এরপর সিজার লিস্টের সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের পর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে। প্রসিকিউশনের মতে, বাকি কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্যই মামলাটি প্রমাণের জন্য যথেষ্ট, এরপর যুক্তিতর্ক শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণের জন্য দেখাতে হবে যে হত্যাকাণ্ডগুলো বিচ্ছিন্নভাবে ঘটেনি, বরং সারা দেশে একই ধাঁচে ওয়াইডস্প্রেড ও সিস্টেমেটিক্যালি সংঘটিত হয়েছে। এসব অপরাধ কেবল ২০২৪ সালের জুলাই মাসেই নয়, ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময় ওভাবে সংঘটিত হয়ে শেষ হয়েছে জুলাই–আগস্ট ২০২৪-এ। মাহমুদুর রহমান ও নাহিদ ইসলাম এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেবেন।
উল্লেখ্য, এই মামলায় সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি বা ঊর্ধ্বতনের নির্দেশনার দায়ে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। ৩ আগস্ট প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। মামুন দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন। বর্তমানে পলাতক শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন আদালতে লড়ছেন।



