গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের দ্রুত কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ সোমবার (৬ অক্টােবর) মিসরের কায়রোতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আলোচনা শুরুর আগে হামাস যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার কিছু অংশ মেনে নিয়েছে। এতে জিম্মিদের মুক্তি ও গাজার প্রশাসন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত। তবে হামাস এখনও নিরস্ত্রীকরণ ও ভবিষ্যতে গাজার শাসন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি। খবর বিবিসির।
ট্রাম্প এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে লিখেছেন, আলোচনার প্রথম ধাপ এই সপ্তাহেই শেষ হতে পারে। তিনি বলেন, “সময় অমূল্য, না হলে ভয়াবহ রক্তপাত ঘটবে।”
এদিকে ট্রাম্পের আহ্বান সত্ত্বেও গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলি সরকার জানায়, আক্রমণ কিছুটা কমলেও এখনও কোনো যুদ্ধবিরতি হয়নি।
হামাসের প্রধান আলোচক খালিল আল-হাইয়্যার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে কায়রো পৌঁছেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি আলোচনায় যোগ দেবেন।
এদিকে প্রস্তাবিত পরিকল্পনার প্রতি হামাস সাড়া দেওয়ার পর শুক্রবার ট্রাম্প ইসরায়েলকে ‘অবিলম্বে বোমা হামলা বন্ধ’ করার কথা বলার পরেও গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান রোববার সাংবাদিকদের বলেন, যদিও গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে কিছু বোমা হামলা আসলে বন্ধ হয়ে গেছে।
বেদ্রোসিয়ান বলেছেন, যদি গাজার যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের জীবনের জন্য কোনো হুমকি থাকে তবে ‘প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশে’ পাল্টা গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।



