যুদ্ধের অবসান ঘটাতে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রথম ধাপে গাজা থেকে আংশিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরায়েল। এরফলে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি উত্তর গাজার বিধ্বস্ত শহরে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। রোববার (১২ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ এবং পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন জানিয়েছে, তারা গাজায় কোন বিদেশি অভিভাবকত্ব গ্রহণ করবেন না। গাজার কর্মকর্তারা ইসরাইলের যুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার জন্য স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার শুরু করলে নিজ বাসভূমিতে ফিরতে শুরু করেছে গাজার ফিলিস্থিনিরা। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজেদের এলাকায় ফিরে এসেছেন।
শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদিন দক্ষিণ গাজার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে উত্তর গাজায় ফিরে গেছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। যানবাহনের পরিমাণ কম এবং তেলের সংকট থাকায় অধিকাংশ ফিলিস্তিনি যাত্রা করেছেন পায়ে হেঁটে।
একই ভাবে দক্ষিণ গাজার যেসব বাসিন্দা গাজার মধ্যঞ্চলীয় শহর গাজা সিটি এবং পূর্ব গাজায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তারাও নিজ নিজ এলাকায় ফেরা শুরু করেছেন। বাড়ি ফেরার জন্য সমুদ্রের তীরবর্তী আল রশিদ স্ট্রিট এবং সালাহ আল দীন রোড এ দুটি সড়ক ব্যবহার করছেন তারা।
ইসরায়েলি বাহিনীর গত ২ বছরের অভিযানে গাজার ৯০ শতাংশ ভবন সম্পূর্ণ ধ্বস হয়ে গেছে। বাকি ১০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত। ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর একটি বড় অংশই ঘরবাড়ি।



