পঞ্চগড় শহরে শনিবার চাঁদাবাজি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সারজিস আলমের নেতৃত্বে লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। সমাপ্তি বক্তব্যে তিনি নেসকো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এর আগেও পঞ্চগড়ে এনসিপির প্রোগ্রাম চলাকালে বিদ্যুৎ গেছে। নেসকোর যে মালিক তাকে এবং তার বাপকে জবাব দিতে হবে, প্রোগ্রাম চলাকালে, এটা হয় কেন?’
তিনি বলেন, ‘এক দিন হইতো, দুই দিন হইতো কিচ্ছু বলতাম না, তিন দিনের তিন দিনই এটা হইছে। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নিব তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘এমন রাজনৈতিক দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পঞ্চগড়ে আর কোনো প্রতিষ্ঠান যদি রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, তবে সেই প্রতিষ্ঠান এখানেই থাকতে পারবে না।’ তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও নেসকো কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পাঁচ থেকে দশজন চাঁদাবাজ, চোরাকারবারি, সিন্ডিকেট সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী, বাটপার, কালপ্রিট আছে যারা ওখানকার মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে।’
সারজিস বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে বড় বড় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সন্তানরা কয়জন জীবন দিয়েছে? কয়জন বড় বড় রাজনীতিকের সন্তান মরেছে? হিসাব করে দেখেন। জীবন দিয়েছে আপনার আমার মতো সাধারণ মানুষ, শ্রমিকেরা ও তাদের সন্তানেরা। মাঝখানে ফায়দা লুটে নিয়েছে কতিপয় রাজনীতিবিদ।’
তিনি বলেন, ‘এনসিপি দায়িত্বে এলে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নিরপরাধ নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হবে না। তবে দুর্নীতিবাজরা নিজ দলের হলেও তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সারজিস বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বড় গলায় কথা বলতে দেওয়া হবে না।’
পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির পাঁচ উপজেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, শনিবার দুপুর ১২টা থেকে পঞ্চগড় পৌরসভার চিনিকল মাঠ থেকে শুরু হয় এ লংমার্চ। এতে পাঁচ উপজেলার নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও পিকআপের বহর নিয়ে অংশ নেন।



