২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি ও আরও দুই দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের মধ্যে ইতোমধ্যে ছয়জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সভাপতি ও বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী।
মঙ্গলবার সকালে তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আদনান হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন দিনে দিনে আরও ঘনীভূত হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়ায় কর্মসূচি হিসেবে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শিক্ষকরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
এ সময় অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজীজি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ২২ অক্টোবর পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব। এর মধ্যে দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন না এলে, যে ধরনের পরিবেশ তৈরি হবে, তা বাংলাদেশে কেউ দেখেনি। আমরা দেশজুড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ঢাকায় এনে যমুনা ভবন ঘেরাও করব।
তাদের প্রধান তিন দফা দাবি হলো—মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া প্রদান, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা।
প্রথম দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করলেও পুলিশি অনুরোধে তা শহীদ মিনারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেখানে পুলিশি লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করলে শিক্ষকরা সেখান থেকেও সরে যেতে বাধ্য হন।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ অক্টোবর থেকে দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতি চলছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা এর পর থেকেই জাতীয় প্রেস ক্লাব ও শহীদ মিনার এলাকাজুড়ে অবস্থান, সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ এবং শাহবাগ অবরোধসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।



