জাপানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন সানায়ে তাকাইচি। ৬৪ বছর বয়সী এই রক্ষণশীল রাজনীতিককে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। খবর বিবিসির
এই রক্ষণশীল নেত্রীকে অনেকেই জাপানের ‘আয়রন লেডি’ বলে অভিহিত করেন। প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের ভক্ত তাকাইচি প্রধানমন্ত্রী পদে এর আগে দুইবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ব্যর্থ হন। এবার তৃতীয়বারের চেষ্টায় ইতিহাস গড়লেন।
তবে তাকাইচির দায়িত্বভার নেওয়া সহজ হবে না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপানে প্রধানমন্ত্রীর পদে স্থিতিশীলতা নেই। পাঁচ বছরে চতুর্থবারের মতো নতুন প্রধানমন্ত্রী পেল দেশটি। এর আগের নেতারা এলডিপির নানা কেলেঙ্কারি ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত হয়ে পদত্যাগ করেন।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার সামনে রয়েছে বহু চ্যালেঞ্জ—মন্দার কবলে থাকা অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করা, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েনপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক সামলানো এবং কেলেঙ্কারি-জর্জরিত এলডিপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা।
তাকাইচির এই অভূতপূর্ব সাফল্যকে জাপানে নারীর ক্ষমতায়নের বড় প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেশটিতে এখনো রাজনীতি ও কর্পোরেট নেতৃত্বের বেশিরভাগ পদে পুরুষদেরই আধিপত্য। জাপানের সংসদে প্রতি পাঁচটি আসনের বিপরীতে নারীদের জন্য একটিরও কম আসন রয়েছে।
তাকাইচির নেতৃত্বে জাপানের রাজনীতিতে নারীর অগ্রযাত্রার নতুন অধ্যায় সূচিত হচ্ছে—যা দেশটির সমাজ ও প্রশাসনে দীর্ঘদিনের পুরুষ-প্রাধান্যভিত্তিক কাঠামো ভাঙার এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।



