জিয়াউর রহমান সরকারের স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. ফজলুর করিমের ছেলে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বুধবার এ খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেছেন। তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগের কমিটির সদস্য ছিলেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
গত ৫ অক্টোবর মুবিন ফেসবুকে পোস্ট করে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
আওয়ামী লীগের এই বৈরী সময়ে কেন এই দলে যোগ দিলেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল, ধর্মনিরপেক্ষ দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব। ৫ আগস্টের পর মানুষের যে স্বপ্ন ছিল, চেতনা ছিল, এক বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের নামে সম্পদ ভোগ করার চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা চলছে। তাকে প্রতিহত করার জন্যই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশের মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল। আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
তবে কী পদ্ধতিতে কার মাধ্যমে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন, এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।
সর্বশেষ তিনি বিএনপির রাজনীতি করতেন। কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীরা বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকাল থেকে এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করেছেন। যা এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়েছে।
এ নিয়ে বুধবার বিকালে ‘অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে মুবিন নিজেই লাইভে এসে দুই মিনিট ১২ সেকেন্ড কথা বলেছেন। ওই পেজের প্রোফাইল পিকচারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লেখাসহ দলীয় পতাকা দেওয়া আছে। এছাড়া ওই পেজের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনার ছবিসহ রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
জানা গেছে, নিজের নামে এ ফেসবুক পেজটি অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন নিজেই পরিচালনা করেন।
ফেসবুক পেজের লাইভে এসে বিএনপির এ সাবেক নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেহেতু বলেছেন, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। আমি রাজনীতি করেছি দেশের জন্য, দলের জন্য নয়। এখন মনে করছি, দেশের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার প্রয়োজন।’
লাইভে মুবিন আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এখন নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের নয়, তিনি এই দেশের স্থিতিশীলতার প্রতীক। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এখন ঐক্যের সময়।’
এর আগে মঙ্গলবার তিনি ওই ফেসবুক পেজ থেকেই লাইভে এসে বলেন, শেখ হাসিনার পক্ষে আমি অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন, কিশোরগঞ্জ থেকে ইংরেজি ২১ অক্টোবর অসাংবিধানিক সরকার কর্তৃক জুলাই সনদের তীব্র বিরোধিতা করি।
ফয়জুল কবীর মুবিন দীর্ঘদিন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি জেলা বিএনপির উপ-দপ্তর সম্পাদক, পৌর বিএনপির সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটির কাজ শুরু হয়।



