প্রয়াত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর পর কেটে গেছে দীর্ঘ ২৯ বছর। তবু এখনো উন্মোচিত হয়নি তাঁর মৃত্যুর রহস্য। সম্প্রতি আবারও নতুন করে আলোচনায় এসেছে এই ‘স্বপ্নের নায়কের’ মৃত্যু।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আদালত সালমান শাহর মৃত্যুকে হত্যা মামলা হিসেবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এই আদেশ দেন। মামলাটি তদন্তের জন্য রমনা থানায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যা মামলা হিসেবে নির্দেশ দেওয়ার পর গত চার দিন থেকে সামিরার কোনো খোঁজ মিলছে না। সামিরা যে ফোন নম্বর ব্যবহার করতেন, তা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সরাসরি এবং হোয়াটসঅ্যাপ—কোথাও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে মামলায় অভিযুক্ত ডন হককে টানা কয়েক দিন ফোনকল ও খুদে বার্তা দেওয়ার পরও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহ মারা যান। শুরু থেকেই তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চললেও কার্যকর কোনো তদন্ত হয়নি। আদালতের নতুন আদেশের পর সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক, খল অভিনেতা ডন হকসহ মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সালমানের পরিবার বরাবরই দাবি করে আসছে, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মা নীলা চৌধুরীর অভিযোগ—তদন্তের শুরুতেই পুলিশ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা নয়, বরং হত্যা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত ছিল। তবে সে সময় পুলিশ সেটিকে অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে জানায়, তদন্তে যদি হত্যার প্রমাণ মেলে, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
সালমান শাহর মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর স্ত্রী সামিরা হকের দিকেই অভিযোগের আঙুল ওঠে। তবে সামিরা বরাবরই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সালমান মানসিকভাবে ‘সুইসাইডাল বাই নেচার’ ছিলেন এবং এর আগেও তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এ তিনটি ঘটনার মধ্যে দুটি মেডিকেল রেকর্ডে নথিভুক্ত এবং একটি ঘটেছিল বিয়ের আগেই।



