Top Newsআন্তর্জাতিক

ভারতে কংগ্রেসের সভায় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত, ক্ষুব্ধ বিজেপি

মোহনা অনলাইন

ভারতে কংগ্রেসের সভায় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত তথা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ গান গাওয়া নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বিজেপি। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজ্যটির শ্রীভূমি জেলার ইন্দিরা ভবনে কংগ্রেস সেবা দলের বৈঠকের সময় তিনি গানটি গেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

১৯০৫ সালে প্রথম বঙ্গভঙ্গের সময় ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সোমবার সেই গানটি দিয়ে নিজের ভাষণ শুরু করেছিলেন আসামের বরাক উপত্যকার অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি নেতা বিধুভূষণ দাস- এমনটাই অভিযোগ।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

এই ঘটনায় কংগ্রেসকে ‘বাংলাদেশপ্রেমী’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী অশোক সিংঘল বলেছেন, শ্রীভূমিতে কংগ্রেসের বৈঠকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এটা এখন স্পষ্ট যে কংগ্রেস কেন কয়েক দশক ধরে আসামে অবৈধ অনুপ্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল এবং উৎসাহিত করেছিল। ভোটব্যাংকের রাজনীতির জন্য রাজ্যের জনসংখ্যার পরিবর্তন করে ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ তৈরি করাই এর লক্ষ্য।

অন্যদিকে, কংগ্রেস এই বিতর্ককে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছে। করিমগঞ্জ (শ্রীভূমি) জেলা কংগ্রেস কমিটির মিডিয়া বিভাগের সভাপতি শাহাদাত আহমাদ চৌধুরী বলেন, বিধুভূষণ দাস বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাননি, রবীন্দ্রসংগীত গেয়েছেন। নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’। ভাষণ শুরু করার আগে দাস বলেছিলেন যে তিনি রবীন্দ্রসংগীত দিয়ে শুরু করবেন। তিনি একজন শ্রদ্ধেয় নেতা, তিনি প্রতি স্বাধীনতা দিবসে ইন্দিরা ভবনে ভারতীয় ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে করা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের কাছে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। যদিও অভিযোগ দায়ের হলে, ভিডিওটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button