টানা চার দফা কমার পর ফের দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এক লাফে ভরিতে ৮ হাজার ৯০০ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম। এর আগে দেশে কখনই একবারে এতটা বাড়েনো হয়নি মূল্যবান এই ধাতুর দর।
রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০ অক্টোবর দেশের বাজারে ২২ ক্যারেট মানের সোনার ভরি ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকায় উঠেছিল। এর আগে কখনই সোনার দর অত উচ্চতায় ওঠেনি।
এর পর চার দফায় সাড়ে ২৩ হাজার টাকা কমে ভরি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকায় নেমে এসেছিল।
বুধবার রাতে ফের সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাজুস। আর তাতেই ভরি আবার ২ লাখ টাকা অতিক্রম করেছে।
বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় দেশের বাজারেও সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। অন্যান্য মনের সোনার দুর প্রায় একই হারে বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ২২ ক্যারেট মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। এর আগে দেশে কখনই একবারে সোনার দাম এতটা কমানো হয়নি। আর তাতেই এক ধাক্কায় ভরি নেমেছিল ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকায়। বুধবার দেশে এই দরে বিক্রি হয় সোনা।
এর আগে পর পর দুই দিন সোম ও মঙ্গলবারও সোনার দাম কমানো হয়। এই তিন দিনে ভরিতে কমে ১৫ হাজার ১৮৬ টাকা। তর আগে ২২ অক্টোবর কমানো হয় ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা। সব মিলিয়ে ছয় দিনের ব্যবধানে চার দফায় কমেছিল ২৩ হাজার ৫৭২ টাকা।
কিছুদিন আগে লাফিয়ে লাফিয়ে যে গতিতে বেড়েছিল, সেই একই গতিতে কমছিল সোনার দর। এখন আবার চড়ছে। ইতিহাস গড়ে ২০ অক্টোবর দেশের বাজারে ২২ ক্যারেট মানের সোনার ভরি ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকায় উঠেছিল।
দুই দিন পর ২২ অক্টোবর এক ধাক্কায় এই মানের সোনার দর ভরিতে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমায় বাজুস; ভরি নামে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৫ টাকায়। ২৩ অক্টোবর থেকে এই দরে বিক্রি হয় সোনা।
তিন দিনের মাথায় চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার (২৬ অক্টোবর) এই সোনার দাম ভরিতে আরও এক হাজার ৩৮ টাকা কমানো হয়; ভরি নামে ২ লাখ ৭ হাজার ৯৫৮ টাকায়। সোমবার (২৭ অক্টোবর) এই দরে বিক্রি হয়। ওইদিন রাতে আরও ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা কমানো হয়; ভরি নামে ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকায়। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সারা দেশে এই দরে বিক্রি হয়।
২৪ ঘণ্টা না যেতেই আরেক দফা কমানো হয়। এ দফায় কমানো হয় ভরিতে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা। আর এতেই ভরি ২ লাখ টাকার নিচে নেমেছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় দেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। আগস্টের মাঝমাঝি সময় থেকে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়া শুরু হয়। তার সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের বাজারেও দাম বাড়িয়ে চলে বাজুস। এই আড়াই মাসে দু-এক বার ছাড়া প্রতিবারই দাম বাড়ানো হয়।
সবশেষ দাম বাড়ানো হয় ১৯ অক্টোবর। এর পর পাঁচ দফা সমন্বয় করা হয়েছে; এর মধ্যে চার বার কমানো হয়েছে; বাড়ানো হলো একবার।



