যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকর রাখার ঘোষণা দিয়েও ফিলিস্তিনের গাজায় নতুন হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি পুনরায় চালু করার দাবি করলেও টানা দুই দিন ধরে উত্তর গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এ হামলায় সর্বশেষ দুইজন নিহত হয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতের হামলায় নিহত হয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও রয়টার্স এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্রবিরতি পুনরায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েও নতুন করে গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় চালানো ওই হামলায় অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল-শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা এমন একটি স্থানে হামলা চালিয়েছে যেখানে অস্ত্র মজুত ছিল এবং সেগুলো তাদের সেনাদের জন্য ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ তৈরি করেছিল।
গাজার নাজুক অস্ত্রবিরতিকে নতুন করে অনিশ্চয়তায় ফেলেছে। এর আগে গত মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ‘প্রতিশোধমূলক জোরালো হামলার’ নির্দেশ দেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ওই হামলায় ১০৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হামাসের সিনিয়র যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এই হামলা করেছে এবং ‘ডজনখানেক’ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এরপর বুধবার দুপুরে তারা আবারও অস্ত্রবিরতি কার্যকর রাখার ঘোষণা দেয়। এরপর একইদিন সন্ধ্যায় আবারও হামলা চালায় তারা।
এদিকে, হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাফাহে যে ঘটনায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে, সেটার সঙ্গে তাদের যোদ্ধাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তারা অস্ত্রবিরতি মানার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে সাম্প্রতিক হামলার কারণে এক মৃত ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় তারা।



