মালদ্বীপ সরকার দেশটিতে জন্ম নেওয়া জেনারেশন জেড প্রজন্ম থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের সব প্রজন্মের জন্য ধূমপান নিষিদ্ধ করেছে। নতুন আইনে বলা হয়েছে— ২০০৭ সালের জানুয়ারির পর যাদের জন্ম, তারা কেউই তামাকজাত কোনো পণ্য ব্যবহার করতে পারবে না। এই নিষেধাজ্ঞা সিগারেট, ভ্যাপ, ই-সিগারেটসহ সব ধরনের তামাকপণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
আইন অনুযায়ী, কোনো খুচরা বিক্রেতা ২১ বছরের নিচে কারও কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করলে প্রায় ৩ হাজার ২০০ ডলার জরিমানা করা হবে। বিক্রির আগে অবশ্যই ক্রেতার বয়স যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি ২১ বছরের নিচের ব্যক্তিদের তামাক ব্যবসা বা তামাক-সম্পর্কিত বাণিজ্যিক কাজে যুক্ত থাকাও নিষিদ্ধ।
এছাড়া, নতুন আইনে সব ধরনের তামাক বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর এই আইন পর্যটকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
মালদ্বীপের ফার্স্ট লেডি সাজিদা মোহাম্মদ এ উদ্যোগকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি সাহসী ও তথ্যনির্ভর এক সিদ্ধান্ত— যা মাদকচক্র ভাঙা, রোগ প্রতিরোধ এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য সুস্থ ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়ক হবে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে অসুস্থতা ও অকালমৃত্যুর অন্যতম কারণ ধূমপান ও পরোক্ষ ধূমপান। এজন্যই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু গত বছর ধূমপানবিরোধী কর্মসূচি হাতে নেন, যার অংশ হিসেবে ই-সিগারেট ও ভ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয় এবং তামাকজাত পণ্যের ওপর করও দ্বিগুণ করা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আশা, নতুন এই আইন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে এবং মালদ্বীপকে একটি ধূমপানমুক্ত প্রজন্মের দিকে এগিয়ে নেবে।



