আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বাকি ৬৩টি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে জোটসঙ্গী রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব আসনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন বিএনপির দীর্ঘদিনের সহযোগী এবং আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া জোটভুক্ত দলগুলোর নেতারা।
জোটগতভাবে আসন ভাগাভাগির সময়ে ওইসব আসনে বিএনপি শেষ পর্যন্ত কাকে বেছে নেবে তা এখন দেখার বিষয়। এছাড়া জোটগতভাবে বণ্টনের পর বাকি আসনে দলের অবশিষ্ট ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। এর মধ্যে এমন কিছু আসন এখনো ফাঁকা রাখা হয়েছে যেখানে একাধিক যোগ্য প্রার্থীর মধ্যে কাকে মনোনয়ন দিলে জিতে আসা সহজ হবে সেটি আরও যাচাই করে দেখা হচ্ছে। আবার অনেক আসনে এখন একক প্রার্থী ঘোষণা করা হলে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঘটতে পারে-এমন আশঙ্কা থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র যুগান্তরকে এমনটি জানিয়েছে।
জোটসঙ্গীদের জন্য ফাঁকা আসন
এর মধ্যে সম্ভাব্য সমর্থনপ্রাপ্ত প্রার্থীরা হলেন—
* চট্টগ্রাম-১৪: এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক।
* বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ): নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
* পটুয়াখালী-৩: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
* ঝিনাইদহ-২: গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
* লক্ষ্মীপুর-১: এলডিপির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র সাহাদাত হোসেন সেলিম।
* লক্ষ্মীপুর-৪: জেএসডির সভাপতি আসম আব্দুর রবের স্ত্রী তানিয়া রব।
* ঢাকা-১৭: বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ।
*ঢাকা-১৩:জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতা ববি হাজ্জাজ।
* ঝালকাঠি-১: বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
* ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
বিএনপির একাধিক নেতার বরাত দিয়ে জানা গেছে, কিছু আসন এখনো ফাঁকা রাখা হয়েছে কৌশলগত কারণে। যেখানে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন, সেখানে জয়ের সম্ভাবনা ও স্থানীয় পরিস্থিতি যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আবার কিছু আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করলে অভ্যন্তরীণ বিরোধের আশঙ্কা থাকায় আপাতত নাম প্রকাশ করা হয়নি।
দলটির এক সিনিয়র নেতা যুগান্তরকে বলেন, “এবার আমরা জোটের ঐক্য অক্ষুণ্ণ রাখতে চাই। তাই যেসব দল আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনে আমাদের পাশে ছিল, তাদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করছি। জোটগত সমঝোতার মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।”
সর্বমোট ৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও বাকি ৬৩ আসন এখনো ‘জোট সঙ্গীদের জন্য উন্মুক্ত’। নির্বাচনের আগে এই আসনগুলোতে কারা মনোনয়ন পাবেন, এখন সেটিই রাজনৈতিক মহলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।



