পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনার উদ্যোগ নিয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দেশটির সিনেটে সংশোধনী বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে, যা সেনা কমান্ড কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজান থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠক পরিচালনা করে সংশোধনী খসড়ার অনুমোদন দেন। এরপর বিলটি সিনেটে পাঠানো হয় আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে। আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করেন এবং বলেন, এটি মূলত ২০০৬ সালে স্বাক্ষরিত ‘চার্টার অব ডেমোক্রেসি’র একটি অংশ, যা ১৮তম সংশোধনীর সময় কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
আরেকটি বড় প্রস্তাব হলো নতুন ‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ গঠন। আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে সুপ্রিম কোর্টের কিছু ক্ষমতা নতুন আদালতে স্থানান্তরিত হবে। আদালতে সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে, বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা বাড়বে এবং প্রধান বিচারপতির মেয়াদ তিন বছর নির্ধারণ করা হবে।
২৭তম সংবিধান সংশোধনীর মূল বিষয়গুলো:
- নতুন পদ ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ তৈরি হবে (২৭ নভেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর)
- সেনাপ্রধান একই সঙ্গে নতুন পদে দায়িত্ব পালন করবেন
- ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ার ফোর্স, অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট উপাধি আজীবন বহাল
- প্রধানমন্ত্রী ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’-এর সুপারিশে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার নিয়োগ দেবেন
- নতুন ফেডারেল সংবিধান আদালত গঠন
- সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব আদালতে
- বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা বৃদ্ধি
- ফেডারেল সংবিধান আদালতে বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণ করবে পার্লামেন্ট
- সুপ্রিম কোর্টের কিছু ক্ষমতা স্থানান্তরিত হবে
- ফেডারেল সংবিধান আদালতের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ তিন বছর
নতুন সংশোধনী প্রস্তাব কার্যকর হলে পাকিস্তানের সেনা ও বিচারব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হবে।



