ট্রাম্পের বক্তব্য বিকৃতভাবে সম্পাদনায় বিবিসির মহাপরিচালক-বার্তা প্রধানের পদত্যাগ
মোহনা অনলাইন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে তৈরি একটি তথ্যচিত্র সম্পাদনার জের ধরে ব্রিটিশ প্রভাবশালী গণমাধ্যম বিবিসি’র মহাপরিচালক টিম ডেভি ও সংবাদ বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেবোরাহ টার্নেস পদত্যাগ করেছেন। ওই তথ্যচিত্রটি সম্প্রচারের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেটিকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ সাংবাদিকদের কাজ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। খবর এএফপির।
পাঁচ বছর ধরে এ পদে থাকা ডেভি সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বিতর্ক ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছিলেন।
যুক্তরাজ্যের রাজনীতিকরা আশা করেছেন যে, এ পদত্যাগের ফলে পরিবর্তনের সূচনা হবে। ট্রাম্পও এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
একই দিনে বিবিসির মহাপরিচালক ও হেড অব বিবিসি নিউজের পদত্যাগের ঘটনা নজিরবিহীন।
রোববার সন্ধ্যায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে ডেভি বলেছেন, অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো বিবিসিও নিখুঁত না, কিন্তু আমাদের অবশ্যই সবসময় উন্মুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। বিবিসি নিউজকে ঘিরে চলমান বিতর্ক আমার এ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে, কিন্তু পদত্যাগের এটিই একমাত্র কারণ নয়। সার্বিকভাবে বিবিসি ভালো করছে, তবে কিছু ভুল হয়েছে এবং মহাপরিচালক হিসেবে আমাকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি বলেন, পাবলিক লাইফের নেতাদের সম্পূর্ণ জবাবদিহি করতে হয় এবং সেকারণেই আমি পদত্যাগ করছি। যদিও কিছু ভুল হয়েছে কিন্তু আমি এটি পরিষ্কার করতে চাই যে বিবিসি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পক্ষপাতমূলক বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভুল।
টারনেস গত তিন বছর ধরে নিউজ অ্যান্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করছিলেন।
এদিকে, টেলিগ্রাফ বিবিসির যে অভ্যন্তরীণ মেমো প্রকাশ করেছে তাও উদ্বেগ তৈরি করেছে যে, বিবিসির আরবি বিভাগে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের কাভারেজ নিয়ে পক্ষপাতিত্বের যে ‘পদ্ধতিগত সমস্যা’র কথা বলা হয়েছে তা সমাধানে যথাযথ দৃষ্টি দেওয়া হয়নি।
ওয়াশিংটন ডিসিতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, আমরা ক্যাপিটল হিলের দিকে যাবো এবং আমরা আমাদের সাহসী সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের উৎসাহ জোগাবো।
যদিও প্যানারোমায় সম্পাদনার পর তাকে বলতে শোনা গেছে: “আমরা ক্যাপিটল হিলের দিকে যাবো…এবং আমি আপনাদের সঙ্গে থাকবো। আমরা লড়বো। আমরা প্রাণপণ লড়াই করবো”।
যে দুই অংশকে একসঙোগ জোড়া দেওয়া হয়েছিলো, যেগুলো মূলত ৫০ মিনিটের ব্যবধানে ছিলো। ফাঁস হওয়া মেমোর কারণে বিবিসির সমালোচনা শুরু হয়। হোয়াইট হাউজ সংস্থাটিকে শতভাগ ভুয়া সংবাদ বলে বর্ণনা করেছে।
রোববার বিবিসির প্রধান দুই নির্বাহীর পদত্যাগের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেছেন, বিবিসির শীর্ষ ব্যক্তিরা পদত্যাগ করেছেন কিংবা বরখাস্ত হয়েছেন, “কারণ তারা ৬ জানুয়ারি আমার দেওয়া একটি ভালো বক্তব্য বিকৃত করেছে। এরা খুবই অসৎ মানুষ যারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য কতটা ভয়াবহ বিষয়!



